বাংলা গান নিয়ে চর্চা বহুদিনের। আগের দিনের শিল্পীরা গানের মধ্য দিয়ে কিভাবে সুরের পথকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সে সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদের আলোকিত করে তোলা হলো প্রধান কাজ। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়-এর গায়ন পদ্ধতিতে নমনীয়তার সঙ্গে দৃঢ়তার একটা সহজ ও সুন্দর সমন্বয় ছিল। রজনীকান্ত সেন, অতুলপ্রসাদ সেন-এর গানের ভাব, স্নিগ্ধতা, সারল্য, নিবিড় সঙ্গীত মনকে পরিপ্লুত করে রেখেছে।
নিজের গান রজনীকান্ত বাংলাদেশের বহু জায়গায় গেয়েছেন এবং সমাদর লাভ করেছেন। মনের আনন্দে গান রচনা করেছেন। সুর দিয়েছেন। সংগীতজ্ঞদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। স্মরণ ও মননের মধ্য দিয়ে তাঁর ছেলে ও মেয়েরা তাঁর গানকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। -কথাগুলি বলেন সুরনন্দন ভারতীর সর্বভারতীয় সম্পাদক ঋতীশ রঞ্জন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে ৫২ বছর ধরে চলা ত্রৈমাসিক রা পত্রিকার রজনীকান্ত সেনকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যাও প্রকাশিত হয়। উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন ডাঃ সুকমল দাস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং বাচিকশিল্পী অনিতা রায় মুখার্জী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সুরনন্দন ভারতীর বিভাগীয় প্রধান ও জন্মলগ্ন থেকে জড়িয়ে থাকা নৃত্যগুরু স্নুহি চৌধুরী-র স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিজয় চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জবা মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রানী চক্রবর্তী, অমিতাদিত্য সান্যাল, কমলিনী বড়ুয়া, যুধাজিৎ রায়, অমিতাভ বসু, তানভ মুখার্জী, রুপালি ভট্টাচার্য্য, উষশী রায়, দিব্যেন্দু সাইন ও বিশ্বজিৎ দে। শিল্পী সৌমিতা রায়-এর অসাধারণ নৃত্য শৈলী দর্শকদের আনন্দ দেয়। বাচিকশিল্পী সুকর্ণা দাস-এর আবৃত্তি প্রশংসনীয়। চিত্রশিল্পী অরিজিতা দাস রজনীকান্ত সেন-এর জলরং-এ আঁকা ছবি দর্শকদের দেখান। সবাই তাঁর শিল্পকর্মের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন পন্ডিত শিবনাথ ভট্টাচার্য্য, সরোদশিল্পী ভবানী শঙ্কর দাসগুপ্ত ও সংগীতশিল্পী অমিতাদিত্য সান্যাল।