কলকাতা, ২২শে মে, ২০২৫: শহর কলকাতা মানেই আনন্দ,আড্ডা, ফুটবল আর গান,সাহিত্য আর অনেক কিছু। আর বই মানেই বইপ্রেমিদের কাছে অন্য এক স্বপ্নের জগত। কলকাতার অ্যাক্রপলিস মলে শুরু হয়েছে এমনই এক বিশেষ বইমেলা। কিতাব লাভার্স নামক সংস্থা এই বইমেলা আয়োজক, তাদের এক জনপ্রিয় অফার “লোড দ্য বক্স” নিয়ে এবার হাজির। আজ ২১ মে থেকে শুরু হওয়া এই বই মেলা আগামি ২৫ মে অব্দি – সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট ৫ দিন চলবে এই বই উৎসব।
এই বইমেলার বর্তমান সংস্করণে ১০ লক্ষেরও বেশি নতুন এবং ব্যবহৃত বই রয়েছে, যা ২০টিরও বেশি জনপ্রিয় বিষয়ের ওপর, যা এক ছাদের নীচে বিভিন্ন বয়সের পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয়। এখানে থাকছে ছোটদের বই, থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপন্যাস, রহস্য, রোমান্স, ক্লাসিক, এবং নন-ফিকশন, যা ছোট পাঠক থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ বইপ্রেমীদের জন্য এক বিপুল ভান্ডার। মেলাটি একটি লাইব্রেরির মত সাজানো হয়েছে, যাতে পরিপাটি যা দর্শনার্থী বা বইপ্রেমিদের আরামে ঘুরে দেখতে সাহায্য করবে।
এই মেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল “লোড দ্য বক্স” নামক এর সৃজনশীল বিষয়। বই প্রেমীরা একটি বাক্স কেনার পর এবং তাদের ইচ্ছামতো যতগুলি ইচ্ছা বই দিয়ে সেটি সেই বাক্স ভর্তি করতে পারবে, এর কোন সীমাবদ্ধতা নেই, তবে বই গুলি বাক্স বন্দী করতে মানতে হবে একটি শর্ত। বাক্সতে বই ভর্তি করার পর বাক্স পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। এই বইমেলায় থাকছে নতুন বই এর আবিষ্কার এবং গল্প সংগ্রহ করার আনন্দ। তিনটি বাক্সের মধ্যে রয়েছে – মানি সেভার বাক্স – ১,২০০ ( এই বাক্সে প্রায় ১০-১৩টি বই ধরে), ওয়েলথ বাক্স – ২,২০০ (এই বাক্সে প্রায় ১৭-২০টি বই ধরে), ট্রেজার বাক্স – ৩,০০০ (এই বাক্সে প্রায় ৩০-৩৩টি বই ধরে)
কিতাব লাভার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আর.কে. শঙ্কর অ্যাক্রোপলিস মলের এই বইমেলা সম্পর্কে বলেন “আমাদের একাদশ কলকাতা বইমেলা এবং অ্যাক্রোপোলিস মলের সাথে দ্বিতীয় সহযোগিতা হিসেবে, ‘লোড দ্য বক্স’ – ধারণায় বইমেলা এখানে অবিলম্বে সফল হয়ে উঠেছে। কলকাতা এমন একটি শহর যেখানে সমস্ত রকমের মানুষ – বাচ্ছা থেকে বয়স্ক – বইয়ের প্রতি একটি আন্তরিক আবেগ রাখে। আমরা এমন একটি শহরে ফিরে আসতে পেরে খুশি যা সাহিত্যকে এত মূল্য দেয়। অ্যাক্রোপলিস মলকে অনেক ধন্যবাদ, আমরা এবং আমরা আশা করি ভবিষ্যতের সংস্করণগুলিতে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
মার্লিন গ্রুপের কর্পোরেট জেনারেল ম্যানেজার – হসপিটালিটি অ্যান্ড মল, শুভদীপ বসু বলেন, “অ্যাক্রোপলিস মলে, আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্ভাবনী অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। বর্তমানে বাচ্চা থেকে যুবক- ক্রমবর্ধমানভাবে ভার্চুয়াল জগতে নিমজ্জিত হওয়ার সাথে সাথে বই পড়ার ঝোক কমছে। এই বইমেলা মনোযোগ, কল্পনা, এবং অধ্যয়ন বিকাশের দিকে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ বলে মনে করি। আমরা এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে খুশি।”