সুরসাগর জগন্ময় মিত্র গানের জগতে এক অবিসম্বাদিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর গান প্রতিটি হৃদয়ে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করে। জগন্ময়ের সুরে কথা বসিয়েছিলেন স্বয়ং কাজী নজরুল ইসলাম।

‘শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে’, দুই প্রতিভার যৌথ সৃষ্টির ফসল এই কালজয়ী গান। যা আজ ইতিহাস। জগন্ময় মিত্রর স্মরণে বাঘাযতীন যোগপ্রভা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে এক অনুষ্ঠান হয়ে গেল ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, যাদবপুরের ইন্দুমতি সভাগৃহে। শিল্পী ও মানুষ জগন্ময় মিত্র সম্পর্কে বলেন, বাঘাযতীন যোগপ্রভা ফাউন্ডেশন -এর সম্পাদক ঋতীশ রঞ্জন চক্রবর্তী । শিল্পীকে নিয়ে রা পত্রিকার জগন্ময় মিত্র বিশেষ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুকমল দাস। বিশিষ্ট মূকাভিনেতা কমল নস্করের ‘মূকাভিনয়’ বইটি পন্ডিত শিবনাথ ভট্টাচার্য ও নারায়ণ চন্দ্র হালদারের ‘স্মরণীয় বরণীয় ৩৬৫দিন +১ দিন’ বইটি শিল্পী জবা মুখোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে মণীষা রাণী বিশ্বাস রাগ ‘মারু বেহাগ’ পরিবেশন করেন। রাগ পরিবেশনে দক্ষতা রয়েছে। মণীষা রাণী বিশ্বাসের সঙ্গে অনবদ্য তবলা সঙ্গত করেন পন্ডিত শিবনাথ ভট্টাচার্য। জবা মুখোপাধ্যায়, অরিজিতা সেন এবং অভিনেত্রী পদ্মা সরকারের সঙ্গীত পরিবেশনায় অভিনবত্ব আছে। চিত্রশিল্পী অরিজিতা দাসের আঁকা জগন্ময় মিত্র-র প্রতিকৃতি অনুষ্ঠানে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়। কবিতা পাঠ করেন অশোক কুমার সেন, চৈতালী খাঁ, চঞ্চল ভট্টাচার্য এবং দেবাশীষ সরকার। এদিনের অনুষ্ঠানের শেষ আকর্ষণ ছিল বিশিষ্ট মূকাভিনয় শিল্পী কমল নস্করের ছাত্র – ছাত্রীদের প্রশংসনীয় মূকাবিনয়। মণীষা রাণী বিশ্বাসকে সঙ্গীতনন্দন পুরস্কার এবং অনিশা চক্রবর্তী ও সৌমেন রায়কে নন্দনশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন গৌরী মন্ডল এবং দেবাশীষ সরকার। যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন শান্তিবিনোদ দাস (কীবোর্ড), রাখী মুখার্জী (তবলা), সৌমেন রায় (হারমোনিয়াম), অনিশা চক্রবর্তী (তানপুরা) এবং প্রদীপ সাহা (পারকাশন)।