“বাবা-মা কোনো দিন সামনা সামনি আমার নাচের প্রশংসা করতেন না। এতে মনে হতো আমি নিশ্চই এখনো বলার মতো সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। তাই আরো প্র্যাকটিস করে গেছি।পদ্মশ্রী পাবো কোনো দিনও ভাবিনি। সবই বাবা-মায়ের আশীর্বাদ।” বিশ্ব নৃত্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত হন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী -অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। শিল্পীর হাতে সম্মাননা তুলে দিলেন প্রবীণ বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী পূর্ণিমা ঘোষ। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশন আয়োজিত বিশ্ব নৃত্য দিবসের অনুষ্ঠানে মহাজাতি সদনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পীরা।
এবছর ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিশ্ব নৃত্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ নৃত্য কর্মশালার কেন্দ্রে ছিল আসামের ভীষণ জনপ্রিয় বিহু নৃত্য ধারা। মোট পঁচানব্বই জন নৃত্যশিল্পী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট বিহু নৃত্যশিল্পী বিধান দেউড়ি হুকাই এর তত্ত্বাবধানে এই কর্মশালা আয়োজিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী নৃত্যশিল্পীরা পরে বিধান দেউড়ি হুকাই নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশনের পক্ষে পদ্মশ্রী পাওয়ার জন্য মমতা শঙ্করকে সম্বর্ধনা জানান হয়।
পরবর্তী পর্যায়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স গ্রুপ ফেডারেশনের এগারোটি দল নৃত্য পরিবেশন করেন। কারোর বিষয়ে ছিল সবুজ রক্ষার সন্দেশ, কোথাও বা জগন্নাথ দেবের নানা রূপের বর্ণনা করা হয়েছে, কোথাও হয়েছে গাজনের গান, বনবিবির আখ্যান ।
উল্লেখযোগ্য নাচের দল গুলো যথাক্রমে ঘুঙুর, সঙ্গীত নৃত্য কলা কেন্দ্র , চাঁচল, মালদা, বেলুড় সিন্জিনি, হৃতাল ডান্স সেন্টার, ইউনিকর্নস ডান্স কোম্পানি, অবন্তিপুর ওম ফাউন্ডেশন, আলোর পাখি সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস, শুভাঙ্গিক নৃত্য পরিবেশন করেন।
উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির মধ্যে ছিলেন পূর্ণিমা ঘোষ, চন্দ্রোদয় ঘোষ, পার্বতি গুপ্ত, প্রদীপ্ত নিয়োগী, সোমনাথ কুট্টি প্রমুখ।
