IMG-20250323-WA0001
  • অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘ জটিলতার পর বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে হাঙ্গামা ডট কম। ডঃ কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ছবিটি ইদে মুক্তি পাবে
  • ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলেছেন মানস গঙ্গোপাধ্যায়। ছবির মিউজিক করেছেন স্যাভি ও অমিত মিত্র
  • প্রযোজনায় এস এস থ্রি এন্টারটেনমেন্ট হাউস। হাঙ্গামা.ডট.কমের মুক্তির নতুন দিন জানিয়ে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ছবির নতুন পোস্টার

আনন্দদিন প্রতিনিধি:নিজের লেখা কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ নিয়ে ২০২২ সালে কলকাতা টু কালিম্পং দাপিয়ে শুটিং করেছিলেন ডক্টর কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে এক জোড়া নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় আর কৌশিনী মুখার্জি এবং এক জোড়া নায়ক ওম সাহানি আর বনি সেনগুপ্ত। ফলে অন স্ক্রিন আর অফ স্ক্রিন, দু’জায়গাতেই জমিয়ে হাঙ্গামা হয়েছে।

ইদ-এ অর্থাৎ মার্চের শেষ দিনে মুক্তি পাবে কৃষ্ণেন্দুর হাসির মোড়কে মোড়া এই ছবি ‘হাঙ্গামা ডট কম’। ছবির অন্যান্য শিল্পীরা হলেন রজতাভ দত্ত, খরাজ মুখোপাধ্যায়, তুলিকা বসু, লাবনী সরকার, বিশ্বনাথ বসু, ঋষি রাজ, ইমন চক্রবর্তী, কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহেব মাঝি প্রমুখ। ক্যামেরার দায়িত্ব রয়েছেন মানস গঙ্গোপাধ্যায়। ছবিতে সুরারোপ করেছেন স্যাভি ও অমিত মিত্র। ছবিটি প্রযোজনা করছে এস এস থ্রি এন্টারটেনমেন্ট হাউস।

‘বাঙাল-ঘটি ইমোশনটার বছরের পর বছর ধরে কোনও বদল হয় না। কোথাও ইস্টবেঙ্গল মোহন বাগান খেলা হলে, বোঝা যায় যে এটা এখনও কতটা কনটেম্পোরারি। সেই ‘ওরা থাকে ওধারে’ ছবির সময়ে যেমন ছিল, ‘হাঙ্গামা ডট কম’-এর সময়ে এসেও তাই। এখান থেকেই গল্পটা মাথায় এসেছিল,‘ বলছিলেন ছবির কাহিনীকার ও নির্দেশক কৃষ্ণেন্দু।

দুই বাড়ির দুই কর্তার রোজই মাছের বাজারে দেখা হয়, ঘটি-বাঙালে একেবারে নারদ নারদ সম্পর্ক তাদের। দুই বাবার মধ্যে এই শত্রুতার কথা না জেনেই, ঘটনাচক্রে ওম ও কৌশানী, দুই ভাই-বোনে প্রেমে পড়ে যায় অপর দিদি-ভাই জুটি, শ্রাবন্তী আর বনির। দুই পরিবারের কর্তারা যখন তা জানতে পারেন, তখন থেকেই মাছের বাজারের ঝগড়াটা প্রায় বাড়িতে উঠে আসে। জল এতদূর গড়ায় যে, হবু শ্বশুরা পরস্পরকে হমকি দেন, গলায় দড়ি দিয়ে একে অপরের বাড়িতে ভূত হয়ে থাকার। এত সব হাঙ্গামা ট্যাকেল করে আজকের এই ‘রোমিও জুলিয়েট’-দের প্রেমের মধুরেণ সমাপয়েৎ হয় কিনা, সেটা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ইদ অবধি।

হাসির ছবি করতে করতে কৃষ্ণেন্দু কি তবে বাংলার প্রিয়দর্শন হয়ে উঠছেন ? হেসে নির্দেশকের জবাব, ‘না না অত বড় নামের সঙ্গে আমি নিজের নাম জুড়তে চাই না। কমেডি আমার করতে ভালো লাগে। এই মুহূর্তেও দূরদর্শনে ‘হরি ঘোষের গোয়াল’ চলছে। তবে এমন নয় যে, সিরিয়াস ছবি করার কথা ভাবছি না। ফেলু বক্সি আমার প্রথম লেখা থ্রিলার। তবে ভবিষ্যতে যে-ছবিই করি না কেন, তাতে একটা কমেডির টাচ থাকবেই।‘

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *